বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল’র চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফিকা

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল’র চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফিকা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র প্রথম আসরে ক্রিকেটারদের বকেয়া টাকা নিয়ে ফিকার বাড়াবাড়িকে ভালো চোখে দেখেনি আয়োজকরা। সংস্থার এমন উদ্যোগকে টুর্নামেন্ট বন্ধ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

গাজী আশরাফ হোসেন এবিষয়ে বলেন, ‘বিপিএলের প্রথম আসরে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বাজেটের চেয়েও বেশি। এমনকি টেস্ট খেলুড়ে অনেক দেশের চেয়েও। বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যে সফলভাবে টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে সেজন্য ক্রেডিট পাওয়ার যোগ্য। এ অবস্থায় যদি ১০/১২ জন ক্রিকেটারের বকেয়া থাকেও তা নিয়ে টিমের এত ঔদ্ধত্য আরচণ প্রকাশ করা সমীচীন হয়নি। আমরা ক্রিকেট বোর্ড শুধু ক্রিকেটারদের জামিনদার। যাদের টাকার বাকি আছে তাদের টাকার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। মারলন স্যামুয়েলস ও কিয়েরন পোলার্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুইবার টাকা পাঠানোর পরও তা ফেরৎ এসেছে। তাদের এজেন্টকে অবহিত করার পর তারা চুপসে গেছে।’

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘টিম বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে খেলায়াড়দের অংশগ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটা কোনো শুভ চিন্তা হতে পারে না। তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আদালতে নিয়ে যেতে চায়। ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয় কোনো সফল টুর্নামেন্ট বন্ধের অপচেষ্টা করছেন টিম মে। এতে খেলোয়াড়দেরই ক্ষতি করছেন তিনি। কারণ এই টুনার্মেন্ট থেকে বাংলাদেশ ও বিদেশের অনেক ক্রিকেটার ভালো অর্থ উপার্জন করছে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রিকেটারদের আর্থিক উন্নতি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির পথ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন তিনি। এটাকে যড়যন্ত্র ছাড়া আর কি বলা যায়। আমাদের কাছে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ফোন করে বলেছে টিমের সঙ্গে তারা একমত নন; টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে তাতে তারা অংশগ্রহণ করবেন।’

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফিকা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের বকেয়া টাকা দাবি করার পেছনে বিপিএল বন্ধ করার কোনো ষড়যন্ত্র নেই। বরং খেলোয়াড়দের স্বার্থেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা)’র প্রধান নির্বাহী টিম মে বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক সংস্থা নই। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফিকার সদস্য। বিপিএল ভালো ভাবে হওয়ায় তাতে ক্রিকেটারদেরই সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের। কেন, আমরা আমাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রচারে নামবো।’

টিম মে বলেন, ‘বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা ঠিক নয়। মূলত ইস্যুটিকে অন্য দিকে সরিয়ে নিতেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।’

খেলাধূলা