করোনাভাইরাস নিরোধক টিকা আমদানি পরবর্তী সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন, বিতরণ এবং টিকাদান কর্মসূচির ফি এর ওপর মূল্য সংযোজন কর (উৎস মূসক কর্তনসহ) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (মূসক) কাজী ফরিদ উদ্দীন সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের অপর এক আদেশে যে কোনো ধরনের ভ্যাকসিন বা টিকা আমদানিতে প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর বা এআইটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
এবারের আদেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে করােনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রাদুর্ভাব প্রতিরােধে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বৈশ্বিক এ মহামারি মােকাবিলায় ইতোমধ্যে করােনা প্রতিরােধক বিভিন্ন সামগ্রীর পাশাপাশি কোডিড-১৯ নিরোধক টিকার আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দেশের করােনা মহামারি মােকাবিলায় দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে এনবিআরের মূল্য সংযােজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নম্বর আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কোভিড-১৯ নিরােধক টিকা আমদানি পরবর্তী সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন, ডিস্ট্রিবিউশন এবং টিকাদান কর্মসূচির ফি এর ওপর প্রযােজ্য ভ্যাট (উৎসে ভ্যাটসহ) হতে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ নিরােধক টিকা শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহের ক্ষেত্রে এ অব্যাহতি সুবিধা প্রযোজ্য হবে এবং কোভিড-১৯ নিরােধক টিকা সরবরাহ বাবদ পাওয়া টাকার যাবতীয় হিসাব বিবরণী অর্থপ্রাপ্তির দশ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযােজন কমিশনারেটকে অবহিত করতে হবে।
অন্যদিকে অগ্রিম আয়কর বা এআইটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা আসে। আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৫ ধারা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। এর ফলে করোনাসহ যে কোনো ভাইরাসের টিকা আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর দিতে হবে না। এতদিন বেসরকারি পর্যায়ে যে কোনো ধরনের টিকা আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করতে হতো বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশব্যাপী মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বিপুল পরিমাণ টিকা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।