বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম প্রয়োজন। সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে ভারত বা আফগানিস্তানে বিদ্যমান সুবিধা কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে। প্রয়োজন গ্রীড ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয় থেকে অনলাইনে টীম ইউরোপ গ্রীন এনার্জি ইনিসিয়েটিভ (TEI-Green Energ)-এর সাথে সভাকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপথ্যে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ বাড়াতে এমন উন্নত প্রযুক্তি লাগবে যা অল্প জায়গায় স্থাপন করা যায়। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা সৃজনের জন্য প্রয়োজন উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়, পলিসি ডায়লগ ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসময় বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭২২.১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। নেপাল ও ভূটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়টি চলমান। অন্যদিকে শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানিও করা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০% জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ৫.৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যার অর্ধেক মূল্য সরকার পরিশোধ করে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরাম (CVF-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রীন ও ক্লীন এনার্জির প্রসারে আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। এনার্জি ট্রানজিশনের এই পর্যায়ে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য খাতের প্রসারে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ করে সহযোগিতা করতে পারে।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের প্রতিনিধি ডরিও ট্রমবিটা (Dario Trombetta), কোয়েন ইভারিয়ার্ট (Koen Everaert), তানজিনা দিলসাদ (Tanzina Dilshad), চিয়ারা ভিডুসী (Chiara Vidussi), রয়েল নরওয়ে এ্যাম্বাসির ক্রিসটিন টি. ওয়ারিংসাসেন (Kristin T. Waeringsaasen), সুইডেন এ্যম্বাসির মাহবুবুর রহমান (Mahbubur Rahman), মারকোস জোহান্নেসন (Marcus Johannesson), ইউরোপীয়ান ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংক নয়া দিল্লির ডোনাল ক্যানন (Donal Cannon), কেএফডাব্লিউ-এর অনির্বাণ কুন্ডু (Anirban Kundu), জিআইজেড-এর এঞ্জেলিকা ফ্লিডারম্যান (Angelika Fledd), মুদাব্বির আনাম, (Mudabbir Anam) জার্মান এ্যাম্বাসির শেখ মাহমুদুল আহসান (Shaikh Mahmudul Ahsan) এবং ইআইবি-এর কেটরিন বুক (Katrin Bock) সংযুক্ত ছিলেন।