বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের হাতে এ সংক্রান্ত নিয়োগপত্র তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এরপর নবনিযুক্ত ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ইফতেখার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের জন্ম ১৯৬২ সালে। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ সিদ্দিকুর রহমান ও মাতা জোবেদা খানম। ছাত্রজীবন শুরু পিতামহের মক্তবে, সকালে আরবি পাঠ আর অপরাহ্নে আদর্শলিপি। তারপর হাসানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাউদকান্দি, কুমিল্লা; বালুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মডেল স্কুল, দিনাজপুর; মিশন স্কুল, রাজশাহী; পিএইচ আমীন একাডেমি ও চট্টগ্রাম কলেজ। ১৯৮৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে এমবিবিএস, ১৯৯৫ সালে এফসিপিএস ও ২০১০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল থেকে ২০০৩ সালে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে এক বছরের ফেলোশিপ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অধ্যাপক মোশাররফ সম্মানসূচক এফসিসিপি ও এফআরসিপি ২০০৫ ও ২০১১ সালে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ইউরোপিয়ান রেসিপিরেটরি সোসাইটি তাকে ইয়ং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড দেয়।
২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি উইংয়ে প্রথম সহকারী অধ্যাপক (রেসপিরেটরি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের ১ জুলাই রেসপিরেটরি উইং রূপান্তরিত হয়ে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিভাগের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৪ সালে পালমনোলজি কোর্স চালু হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসের শরণার্থী জীবন তার উল্লেখযোগ্য স্মৃতি। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানসের (এপিবি) বিভিন্ন মেয়াদে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ফেলোশিপকালে ফেলো ওয়েল ফেয়ার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ জার্নালের সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক ও এপিবি জার্নালের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। যুগল পদ্যগ্রন্থ ‘লাল খামে নীল চিঠি’ (১৯৮৭) ও সম্পাদিত গ্রন্থ ‘অ্যাজমা সিওপিডি ও ধূমপায়ী রোগীদের নির্দেশিকা’ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা। বিভা মোশাররফ ও মাহির মোশাররফ তার দুই সন্তান, স্ত্রী ডা. কোহিনূর আহমেদ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।