মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ। এর ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। তাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি-নিষেধ না মানলে এ পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র যেসব সাফল্য অর্জন করেছে সেগুলো ধুলিসাৎ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করেছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডিরেক্টর ডা. রোশেল ওয়ালানস্কি।
তিনি বলেছেন, ‘আমার কথা কান খুলে শুনে রাখুন। করোনার নতুন রূপ ছড়াতে শুরু করেছে। আমাদের কষ্টার্জিত সকল সাফল্য ধুলিসাৎ হয়ে যেতে পারে যদি আমরা নিয়ম-নীতি ও বিধি-নিষেধ না মেনে চলি। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। গেল সপ্তাহগুলোর চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।’
ওয়ালানস্কি বলেন, ‘আমি খুবই শঙ্কিত যে করোনা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমরা যেসব নিয়ম-নীতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুপারিশ করেছি সেগুলো অনেক রাজ্যেই যথাযথভাবে মানছে না। দয়া করে আমাদের গাইডলাইনগুলো মেনে চলুন। মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। কারণ, আমরা জানি এগুলো করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে। করোনাকে রুখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কঠোর পরিশ্রম করছি। পাশাপাশি দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচিও চলছে। তাই বলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বন্ধ করার সুযোগ নেই।’
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার বহু ধরন রয়েছে। তবে অল্পকিছু ধরন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে প্রথম ধরা পড়া ধরনগুলো মারাত্মক।
যুক্তরাজ্যে প্রথম দেখা দেওয়া করোনার ধরন বি.১.১.৭ এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান করোনার ধরন হিসেবে দেখা দিবে। এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাসটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষের করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।