পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ বলেছেন, পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণের নিরাপত্তায় সব সময় তৎপর রয়েছে। তাহলে কেন সব সময় পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানানো হয়?
আজ সোমবার (১ মার্চ) সকালে মিরপুর ১৪ নম্বর স্টাফ কলেজ অডিটোরিয়ামে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২১ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ কারও প্রতিপক্ষ নয়, রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ক্লাবের সামনে এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। তার পরও পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করছে। পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় কোন রিফ্লেকশন হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। যারা এদেশে বেশি বড় হয়ে এ দেশের বুকে ছুরি মারতে চায় তাদের মুখে ছাই দিতে চায় শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি বলেন, দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে, বনশত্রুদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধ ক্রমাগত, অবিরত ও অবিরাম। আর যুদ্ধ হলেই অবিরামভাবে আসে মৃত্যু। সে কারণে প্রতি বছর আমাদের ডজন ডজন সহকর্মীকে হারাই। পুলিশে এই মৃত্যুর মিছিল, শাহাদাৎবরণকারীদের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আমরা আর কোনো মৃত্যু দেখতে চাই না। আমাদের পরিবারও মৃত্যু দেখতে চায় না।
আইজিপি বলেন, এই করোনাকালেও পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৫ জন সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। সেই সঙ্গে করোনাকালে প্রায় ২১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সুস্থ হয়েছেন এবং আবার সুস্থ হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখ সাড়িতে থেকে দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের দক্ষতা ও দৃঢ়তার যে সাক্ষ্য দিয়েছে তা দিয়ে তারা জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইজিপি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মেমোরিয়াল ডের সঙ্গে আরেকটি উৎসব উদযাপন করে সেটি হচ্ছে ‘ব্লু রিবন ডে’। মূলত ওই দিন দেশবাসী পুলিশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ব্লু রিবন পুলিশকে পরিয়ে দেয়, নিজেরা গাড়িতে, বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নীল রঙে সাজায়। আগামী বছর থেকে এই অনুষ্ঠানটি আগামী বছর থেকে চালু করতে চাই।
এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।