কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান

কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান

কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে পেট্রোবাংলা। শুক্রবার সকাল ৯টায় ড্রিল ইস্টিম টেস্টে (ডিএসটি) প্রাথামিকভাবে গ্যাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পেট্রোবাংলার  চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর বাংলানিউজকে জানান।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরো জানিয়েছেন, আরো কিছুটা সময় পর্যবেক্ষণ করে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার দিকে যাবেন।

তবে বাপেক্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই ফিল্ডের গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কি না তা বোঝার জন্য শুক্র ও শনিবার গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হবে।

ডিএসটি প্রত্যক্ষ করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই সেখানে উপস্থিত হন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুকসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ২/৩ দিন ধরে চরম টেনশনে সময় কাটছে। ডিএসটি শুরু হলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নির্ঘুম রাত কাটছে বলেও বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক জানিয়েছেন, চ‍ূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে আরো ২ দিনের মতো সময় লাগবে।

বাপেক্স খনন বিভাগের পরিচালক আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মে মাসের শুরুতে ২ নম্বর কূপে ড্রিলিং শুরু করা হয়। ড্রিলিং শেষ হয়েছে ১০ জুলাই। এখন চলছে ডিএসটির প্রস্তুতি।

বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে, ডিএসটি টেস্টে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হবে। ফলাফল ভালো হলে টানা ৪৮ ঘণ্টা পরীক্ষা চালানো হবে।

উল্লেখ্য, সিসমিক সার্ভেতে কূপে ২৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লগ করার সময় গ্যাস পাওয়া গেছে বলে বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, সিসমিক সার্ভেতে গ্যাসের মজুদ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। তবে সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনযোগ্য কিনা তা ডিএসটি ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৮১টি কূপ থেকে  প্রতিদিন ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট ঘ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থাৎ ৯৩১ দশমিক ৮১ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৫৩ দশমিক ৯০ এমএমসিএফডি।
সার উৎপাদনে ২৩৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ৬৬ দশমিক ৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যা মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬ ভাগ। অন্যান্য গ্রাহকদের ১ হাজার ১৬৪ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবারহ করা হচ্ছে, যা মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ