স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, “চিকিৎসা সেবা নিতে দেশের মানুষের আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার বেশি হচ্ছে। অথচ দেশের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যেই দেয়া হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে মানুষের এত বেশি টাকা ব্যয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদেশে চিকিৎসা নেয়া, দেশের প্রাইভেট মেডিকেল সেবার মাধ্যমে বা ঔষধ কেনার মাধ্যমে।
দেশের প্রাইভেট মেডিকেল সার্ভিস চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে সত্যিই, তবে একেক হাসপাতালের একেক রকম চার্জ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আরেকটি কারণ হয়েছে। এ কারণে সরকার দেশের প্রাইভেট মেডিকেল সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের মানগত দিক বিবেচনা করে সরকার কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট হারে ফি নির্ধারণ করে দেবার উদ্যোগ নেবার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের প্রাইভেট মেডিকেল প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
আজ সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চিকিৎসা সেবায় দেশের প্রাইভেট খাতের সংযুক্তি শীর্ষক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
দেশের আনাচে-কানাচে প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “সারা দেশে প্রাইভেট ক্লিনিক দিয়ে ছেপে গেছে। এই ক্লিনিকগুলির কিছু মানসম্পন্ন সেবা দিলেও বহু সংখ্যক ক্লিনিকে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে না। এসব ক্লিনিকের ভালোমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাধি নেই। দেশ জুড়ে মাশরুমের মতো গজিয়ে ওঠা এ সকল মানহীন প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে। খুব দ্রুতই ক্লিনিক সেবার জন্য একটি নির্দিষ্ট মানদন্ড নির্ধারণ করা হবে। এই মানদন্ড বজায় না থাকলে সেই সকল ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানসহ দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালের প্রতিনিধিবর্গ।