নিজের কক্ষসহ পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের অন্যান্য কক্ষ দেখে কাঁদলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পরির্দশনে আসেন তিনি। কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবিরের মধ্যে সঙঘর্ষের সময় ঐতিহ্যবাহী পুরনো ছাত্রাবাসটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ছাত্রজীবনে এই ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকের ৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন। প্রথমেই তিনি সেই ব্লকে নিজের কক্ষে প্রবেশ করেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে কক্ষটির ওপরের টিন উড়ে গেছে, দেয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ছে, নিচে পড়ে আছে শুধুই ছাই। ছাত্রজীবনের স্মৃতি বিজড়িত এই কক্ষের এমন অবস্থা দেখে চোখের পানি আটকাতে পারেননি তিনি।
এরপর তিনি পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ব্লক ঘুরে দেখেন। এ সময় অশ্রুসিক্ত নয়নে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিচার হতেই হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এই ছাত্রাবাসকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার জন্য তিনি ইউনেস্কোর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজ পুড়ে যাওয়া ছাত্রাবাস নিয়ে গোটা জাতি মর্মাহত। দেশ একটি ঐতিহ্য ও গৌরব হারালো।
তিনি আগের কাঠামোতে ছাত্রাবাস নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ধীরেশ চন্দ্র সরকারসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।