এবার পদ্মাসেতুতে বিনিয়োগে আইসিবির প্রস্তাব

এবার পদ্মাসেতুতে বিনিয়োগে আইসিবির প্রস্তাব

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পর এবার পদ্মাসেতুতে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে জামা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পদ্মাসেতু প্রকল্পকে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মধ্যমে এই প্রকল্পের অর্থায়নে প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনের ব্যাপারে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে আইসিবি। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

এ সংক্রান্ত আইসিবির প্রস্তাবে বলা হয়, প্রস্তাবিত পদ্মাসেতু প্রকল্পকে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে ইনকরপোরেটাইজেশন করা যেতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, প্রস্তাবিত মূলধন কাঠামোতে মূলধন‍ ও ঋণের অনুপাত ৪০‍ঃ৬০ হতে পারে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় তহবিলের ৪০ শতাংশ পরিশোধিত মূলধন থেকে এবং ৬০ শতাংশ দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ থেকে সংগৃহীত হতে পারে।

এছাড়া পদ্মাসেতু প্রকল্পের মূলধন আইসিবি বা বাংলাদেশ ফান্ড, সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের (নিবাসী ও অনিবাসী) কাছ থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে বলেও আইসিবির প্রস্তাবনায় বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, উক্ত মূলধনের ৬০ শতাংশ অর্থাৎ সরকার কর্তৃক এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ব্যয়িত অর্থ, বঙ্গবন্ধু মাল্টিপারপাস ব্রিজ থেকে, সরকারি শেয়ার অফলোড, নবগঠিত বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড ও সরকারের জাতীয় উন্নয়ন বাজেট থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।

এছাড়া প্রকল্প ঋণের আওতায় (বৈদেশিক ঋণ) এডিবি, জাইকা, আইডিবি, চীন, মালয়েশিয়া বা আগ্রহী অন্য যে কোনো আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাবে বলা হয়।

প্রকল্প ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয় হতে পারে এ জন্যই এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আইসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পদ্মাসেতু প্রকল্পকে লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর, ইনকরপোরেটাইজেশন, এসইসিতে নিবন্ধন, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তকরণ, পাবলিক ইস্যু বা প্লেসমেন্টসহ ইস্যু সংক্রান্ত সব দায়িত্ব আইসিবি ও এর সহযোগী কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেলে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী করপোরেশন (আইসিবি) সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে ধারণাপত্র ইনফরমেশন মেমোরেন্ডাম প্রণয়ন ও অর্থায়নের সময়ভিত্তিক প্রয়োজন নিরূপণ করে স্থানীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আন্তর্জাতিক