নতুন নির্বাচন কমিশন(ইসি)গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে পৃথক পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান।
আগামী ১১ জানুয়ারি বিএনপিকে এবং ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সোমবার বিকাল তিনটার দিকে রাষ্ট্রপতির চিঠি পাঠানো হয় বলে বঙ্গভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল হানিফ বাংলানিউজকে রাষ্ট্রপতির চিঠি প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মত পার্থক্য দূর করার একমাত্র পথই হলো আলোচনা। রাষ্ট্রপতির এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই ও বিএনপিকে বসার আমন্ত্রণ জানাই।
এদিকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা দুটো চিঠি পেয়েছেন। আগামী ১১ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নিতে তাদের বঙ্গভবনে যেতে বলা হয়েছে। রাতেই গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াই দলের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
সোমবার বেলা তিনটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বরাবরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফ্যাক্স বার্তায় এ চিঠি পাঠানো হয়। এরপর বিকাল পৌঁনে ৫টায় আরও একটি চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়। চিঠিতে আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সুত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক সচিব শফিউল আলম সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে।
আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।