ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর

ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর

ফাইজার-বায়োএনটেকের আরএনএ ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে এক আন্তর্জাতিক জরিপে দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন ও টিকাগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার ভ্যাকসিনের আগেই ফাইজারের ভ্যাকসিনের বিতরণ শুরু হয় ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইসরায়েলসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ভ্যাকসিন দিচ্ছে ফাইজার। ইসরায়েল সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের দেশে ফাইজারের ভ্যাকসিন ভালোই কার্যকর হচ্ছে। ভ্যাকসিনের ডোজে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বরং দেশের একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠছে। হার্ড ইমিউনিটির পথে যাচ্ছে ইসরায়েল।

জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন বানিয়েছে ফাইজার। এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়। এই আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম বিএনটিওয়ানসিক্সটু।

গত মে মাস থেকেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছিল ফাইজার ও বায়োএনটেক। প্রথম দুই পর্বে অল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভ্যাকসিনের ডোজও কার্যকর হয়েছিল বলে দাবি করেছিল ফাইজার। তৃতীয় পর্বে ৪৩ হাজার জনকে ভ্যাকসিনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ১৭৩ জন করোনা রোগীও ছিলেন। এই ট্রায়ালের ফল সামনে এনে ফাইজার দাবি করে, ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়েছে। ভ্যাকসিনের ডোজে বি-কোষ থেকে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে রক্তে, যা অ্যান্টিবডি বেসড ইমিউন রেসপন্স বা অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি করছে। একই সঙ্গে সক্রিয় টি-কোষও।

বিশ্বে প্রায় ৬ লাখ মানুষ ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তবে এই ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, শরীরে অ্যালার্জি বা পরিবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না। কারণ ভ্যাকসিনের ডোজে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর