ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কীটনাশক প্রয়োগে সুফল পাওয়া গেছে, কিউলেক্স মশার জন্য তা কার্যকর হয় না। এ জন্য কীটনাশক পরিবর্তন করছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন কীটনাশক চলে আসবে। সেটি আমরা কিউলেক্স মশার জন্য ব্যবহার করব। কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ার যে অভিযোগ আসছে, সেটিরও নিরসন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মোহাম্মদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের বোর্ড সভায় এ বলেন তিনি। এটি দ্বিতীয় পরিষদের ষষ্ঠ বোর্ড সভা।
শীত মৌসুমে কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বাড়ে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে এখনো এত বেশি ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয় রয়েছে, যেগুলো আমাদের নাগালের বাইরে। এ জন্য সেসব জায়গা থেকে মশা বৃদ্ধি পেয়ে বিস্তার লাভ করে এবং প্রজনন ছড়ায়।
শেখ তাপস বলেন, মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সে জন্য আমরা বারবার পরীক্ষা করাই। এতবার পরীক্ষা করাই যে, সবাই অতিষ্ঠ হয়ে যায়। কিন্তু তার পরও যখনই অভিযোগ পাই, তখনই আমরা পরীক্ষা করায়। তাই আমাদের এই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা- সেটা আপনাদের তদারকি করতে হবে।
ডিএসসিসির কোথাও জলাবদ্ধতা হতে দেব না- কাউন্সিলরদের এ প্রত্যয় নিয়ে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। আপনারা (কাউন্সিলর) সজাগ থাকবেন। বর্ষায় বৃষ্টি হলে, যে ওয়ার্ডের যেই জায়গায় পানি জমবে, আপনারা সাথে সাথে আমাদের জানাবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেবেন। আমরা প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে ইনশাল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারব।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র তাপস বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণের মূল ক্ষেত্র হলো হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স। সুতরাং এই জায়গাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। আমরা রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ইতোমধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছি। তাই, আপনাদের নেতৃত্বে কোনো হোল্ডিং যাতে বাদ না পড়ে, কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। যে ব্যবসা করবে, ছোট হোক বড় হোক—তাকে ট্রেড লাইসেন্স করতেই হবে। বাণিজ্যিক অনুমোদন নিতে হবে।
বোর্ড সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী ৯ সদস্যবিশিষ্ট ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা’ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলররা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুনান হাওলাদার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।