আর মাত্র তিন দিন। তার পরই সেই মাহেন্দ্রহ্মণের দিন গণনা শুরু। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দুদেশের পতাকা উড়িয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের হুইসেল বাজবে ঢাকা-শিলিগুড়ির পথে। যেটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির।
১০ বগীর যাত্রীবাহী ট্রেনটির দুটি এসি কামরা, ছয়টি স্লিপার ও বাকি দুটি চেয়ার কোচ। দুদিনের বৈঠকে ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সিদ্ধান্ত এলো।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের শিলিগুড়িতে বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু তা এক দফা পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি। ২০ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী বিভাগীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি পৌঁছে।
বাংলাদেশের রেলভবন সূত্র আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, প্রতিনিধি দলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা থাকছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা-শিলিগুড়ি যে ট্রেনটির শুভ যাত্রা হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করতেই এই বৈঠকের আয়োজন।
দেশের উত্তর জনপদের নীলফামারী জেলার চিলাহাটির দুয়ার পেরিয়ে ভারতের হলদিবাড়ি গেট দিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছবে কাঙ্ক্ষিত ট্রেন। সেই সঙ্গে ৫৫ বছর পর যাত্রীবাহী ট্রেনের হুইসেলে সরগরম হয়ে ওঠবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি।
উভয় দিকের মানুষের স্বজনরা ভাগাভাগি করে বসবাস করছেন, বাংলাদেশের নীলফামারী ও ভারতের কোচবিহার, শিলিগুড়ি এলাকায়। তাদের যাতায়াতে ছিল না তেমন কোনো সুবিধা। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায় দুদেশের সঙ্গে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর একের এক খুলতে থাকে দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বন্ধ দুয়ার। পণ্যপরিবহন ও সাধারণের স্বচ্ছন্দ চলাচলে রয়েছে রেলপথ, সড়কপথ, নৌপথ ও আকাশপথ। দুদেশের মধ্যে বিশেষ করে উত্তরপূর্ব ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সৃষ্টি হয়েছে।