মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের দাফন বনানীর কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।
বনানীতে সর্বশেষ জানাজা ও মোনাজাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। বনানী কবরস্থানে রাজ্জাককে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। এর আগে ঢাকা ও শরীয়তপুরে তার তিনটি জানাজা সম্পন্ন হয়।
সমাহিত করার আগে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
দাফনে অংশ নেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মান্নান, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রমুখ।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ জানাজায় উপস্থিত হন।
এর আগে সোমবার দুপুরে জোহরের নামাজের পর শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নিজ গ্রামে নামাজে জানাজায় আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব মত-পথের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তিনি দুই ছেলে ফাহিম রাজ্জাক ও নাহিদ রাজ্জাক এবং স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাককে রেখে গেছেন। তার একমাত্রা মেয়ে তানিমা রাজ্জাক মাত্র আট বছর বয়সে ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছে। বনানী কবরস্থানে মেয়ে তানিমার সমাধির কিছু দূরে আব্দুর রাজ্জাককে সমাহিত করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি কখনো নির্বাচনে হারেননি। জনগণ সবসময়ই তাকে সমর্থন দিয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সর্বশেষ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব করেন তিনি।
দীর্ঘদিন যকৃত, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগে গত শুক্রবার লন্ডনের হাসপাতালে মৃত্যু হয় আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতার।