রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।
আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে বাদ জোহর নারিন্দায় পীর সাহেব বাড়ি জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর সূত্রাপুর জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় তার আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামান পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন এই শিল্পী।