শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার

শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার

আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। বাঙালি জাতির মনের গভীরে স্থান এই মহামূল্যবান স্থাপনার। এখানে জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করা হয় বিশেষ একটি দিনে। দিনটি ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস। আর দিবসটিকে কেন্দ্র করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, অমর একুশে উদযাপনের প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী আল্পনা আঁকার কাজ করছেন।

শহীদ মিনারের আল্পনার কাজে দায়িত্বরত সুস্ময় দে ওম বলেন, ভাষার মাসে প্রতিবছর আমরা চারুকলার শিক্ষার্থীরা আল্পনার কাজ করি। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ভিন্ন আমেজ হলেও আমরা আল্পনার কাজ করছি। যারা আমাদের বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটবে। আমরাও আল্পনার মাধ্যমে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে স্বেচ্ছায় কাজ করছি।

করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপনের জন্য বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট ও মাস্ক পরাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিরাপত্তা নিশ্চত করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতহার হোসেন ভবনের সামনে র‌্যাব, পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে সমগ্র এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচার চালাবেন।

সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টুকিটাকি কাজ বাকি আছে। দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যে দাগ দিতে হবে সেটা আমরা এখন দিতে পারব না। কারণ এর জন্য রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করতে হবে। তাই এটা শনিবার বিকেল ৫টার দিকে করা হবে।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোয় আমাদের প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। করোনার কারণে এবার জনসমাগম বেশি হবে না বলে মনে হয়। তারপরও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক, রোভার স্কাউট থাকবেন। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ল-ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি থাকবে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর