অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঐতিহাসিক এ চুক্তি থেকে সরে আসার ১০৭ দিন পর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সেখানে প্রতাবর্তন করল দেশটি।
বিশ্ব নেতাদের আশা, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তিকে পরোয়া না করলেও জো বাইডেন প্রশাসন একে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের বিপন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ ২১ নামের একটি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একটি জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হন বিশ্বনেতারা। চুক্তির আওতায় বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০০টি দেশ এতে স্বাক্ষর করে। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরপরই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন। জলবায়ু পরির্তনের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক দাবির বিপক্ষে নানা উদ্ভট যুক্তি দেখাতে থাকেন তিনি। ট্রাম্প ২০১৭ সালে চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেও বিধি অনুসারে, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরিয়ে নিতে প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘গ্রহ নিজেই টিকে থাকার আকুতি জানাচ্ছে।’
এর প্রায় এক মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের জলবাযুবিষয়ক দূত, যুক্তরাজ্য ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।