লাদাখ সীমান্তে গত জুন মাসে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ চীনা সেনা কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছিলেন, অবশেষ স্বীকার করল চীন। ঘটনার প্রায় ৮ মাস পর গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে চীনারা। নিহত সেনাদের মরণোত্তর পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়েছে।
চীনা সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম পিএলএ ডেইলি জানিয়েছে, চেন হংজুন, চেন শিয়াংরং, শাও সিয়ুয়ান এবং ওয়াং ঝৌরান নামে ওই চার সেনা কর্মকর্তা শর্ত লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশকারী ‘বিদেশি বাহিনী’র সঙ্গে ‘ভয়ঙ্কর লড়াই’য়ে প্রাণ হারান।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নিহত সেনা কর্মকর্তা চেন হংজুনকে ‘সীমান্ত রক্ষার নায়ক’ এবং বাকি তিনজনকে ফার্স্ট-ক্লাস মেরিট সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এদিন পুরস্কৃত করা হয়েছে জিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কি ফাব্যাওকেও।
প্রায় ৪৫ বছর শান্তিপূর্ণ থাকার পর গত বছরের জুনে হঠাৎ করেই লাদাখ সীমান্ত নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চীন-ভারতের সম্পর্ক। দুই পক্ষই সীমান্তে সেনা ও সমরাস্ত্র বাড়ায়। একে অপরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলে তারা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমত, গত ১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা শারীরিক সংঘাতে গড়ায়।
এ সময় ইট-পাথর নিক্ষেপ এবং লাঠি নিয়ে উভয় পক্ষের সেনারা সংঘর্ষে জড়ান। এতে ভারতের অন্তত ২০ সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হন।
সংঘর্ষে চীনের কতজন হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে নানা সময় নানা সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংখ্যা বলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এতদিন মুখ খোলেনি চীন। অবশেষে নিহতদের সম্মান জানানোর মাধ্যমে সেই সংখ্যা নিশ্চিত করল দেশটি।
খবর রয়টার্স