ঢাকা ওয়াসা থেকে পাওয়া পানির পাম্প স্টেশনগুলো অচল বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ (বুধবার) সকালে নগরীর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে মান্ডা খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ তথ্য জানান।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের এখন আরেকটি বড় প্রতিকূলতা হয়ে দেখা দিয়েছে যে, আমরা ওয়াসার কাছ থেকে যে পাম্প স্টেশনগুলো পেয়েছি, সে পাম্প স্টেশনগুলো অচল। আমরা এখনো চালু করতে পারিনি। আমরা যদি পাম্প স্টেশনগুলো চালু করতে না পারি, তাহলে পানি নিষ্কাশন আমাদের জন্য দুরূহ অবস্থা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আশা করছি আগামী এপ্রিলের মধ্যে আমরা এগুলো চালু করতে পারব।আমরা বিশেষজ্ঞ এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কাজ করাচ্ছি।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে খাল দখলমুক্ত এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এই কাজে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কেউ আমাদের কাজকে ব্যাহত করতে পারবে না। শ্যামপুর খাল ১০০ ফুট ছিল, তা দখল হয়ে খালের মাত্র ৮ ফুট জায়গা আমরা পেয়েছিলাম। সেটি আমরা দখলমুক্ত করেছি, আরও কাজ চলছে। একই রকম অবস্থা প্রায় সব খালেরই। সব খালেই আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ আমরা মান্ডা খালে এসেছি, এখানেও দেখতে পাচ্ছি নতুন করে কিছু দখল হয়েছে। আমরা আজ থেকে এখানেও ব্যবস্থা নেব।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, আগামী মার্চের মাঝামাঝি গিয়ে আমাদের কাজের কৌশল এবং পরিকল্পনা কিছুটা ঢেলে সাজাব। সে সঙ্গে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম প্রসারিত করব। যদিও এই কার্যক্রম অত্যন্ত দুরূহ কাজ তবুও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই গতিতে যদি আমাদের কাজ চলমান রাখতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ্ জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই নিরসন হবে এবং ঢাকাবাসীকে জলবদ্ধতা থেকে মুক্তির সুফল কিছুটা হলেও দিতে পারব।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান, এ পর্যন্ত অভিযানের ৪৫ দিনে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য-মাটি আমরা খাল থেকে অপসারণ করেছি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরও গতিশীলভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত করব। আমাদের লক্ষ্য বর্ষা মৌসুমে যেন বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে “আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা – ২০২১” এর প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ অবলোকন করেন। পরে তিনি নগরীর ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজলার পাড় খাল পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ খায়রুল বাকেরসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।