প্রায় ৬ বছর আগে দায়ের হওয়া আলোচিত লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন আদালত।
৬ বছর আগে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়। চাপাতির আঘাতে আঙুল হারান তার স্ত্রী।
এ হত্যাকাণ্ডে ১২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও, পাঁচজনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানার অভাবে এবং আরেকজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে আসামি করা হয় ৬ জনকে। উগ্রপন্থী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী বাদে বাকি পাঁচ আসামিই আনসার আল ইসলামের সদস্য। পলাতক রয়েছে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া ও আকরাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি এবং আদালতে যুক্তি-তর্কে উপস্থাপন করেছি, বোঝাতে চেষ্টা করেছি এবং আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দণ্ড আশা করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, এখন বিজ্ঞ আদালত যদি শাস্তি দেয় দিতে পারে আদালতের শাস্তি দেওয়ার একটা রাইট আছে। কিন্তু আমার দৃস্টিতে মামলাটা একা পল শেডো অব ডাউট; মানে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
ছেলের পর স্ত্রীকে হারানোর বেদনা নিয়েও অসুস্থ শরীরে আদালতে সাক্ষ্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়। বিচার শেষ হওয়ার আগেই ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর চিরবিদায় নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। এখন কেবল অজয় রায়ের ছোট ছেলে বেঁচে আছেন।
তিনি জানান, বিচার দেখে যেতে পারলে বাবা-মা অন্তত স্বান্তনা পেতেন।
লেখালেখির কারণে অভিজিতকে খুন করেই থামেনি জঙ্গিরা। এর পর এই লেখকের বই ছাপানোয় জাগৃতির প্রকাশক দীপনকে হত্যা করা হয়। আরেক প্রকাশক শুদ্ধস্বরের টুটুল আক্রান্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।