গুঞ্জন ছিলো ২০১২ সালের মার্চে এশিয়াকাপ ক্রিকেট হচ্ছে না। ওই সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারত সফরে যাবে। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়ায় মার্চেই ঢাকায় হতে যাচ্ছে একাদশ এশিয়াকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সোমবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১২ থেকে ২২ মার্চে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতা ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এ সম্পর্কে এসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আশরাফুল হক জানান, সহযোগি দেশগুলোকে নেওয়া হলে প্রতিযোগিতার দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে। সেজন্যই এশিয়ার সেরা চারটি দলকে নিয়ে এশিয়াকাপ আয়োজন করা।”
১৯৮৮ এবং ২০০০ সালে পর তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। আয়োজনের ব্যাপকতা আগের চেয়ে বাড়েনি। আর্থিকভাবেও খুববেশি লাভবান হওয়ারও সুযোগ কম। অংশগ্রহণ ফি দুই লাখ ডলারের পাশাপাশি টিকিট বিক্রির টাকা পাবে বিসিবি। আয়োজক দেশকে অতিরিক্ত অর্থ না দেওয়ার পেছনের কারণ সম্পর্কে এসিসির সিইও’র যুক্তি,“এশিয়াকাপ ক্রিকেট থেকেই এসিসি আয় করে থাকে। সেজন্য বাহুল্য খরচ করার সুযোগ থাকে না। কোনো অর্থ না দেওয়ার শর্তেই আয়োজক দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়।”
প্রতিযোগিতার মোট প্রাইজ মানি ২ লাখ মার্কিন ডলার। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ৬০ হাজার, রানর্সআপ দল পাবে ৩০ হাজার ডলার। গ্রুপের ম্যাচ জয়ী দলকে ১০ হাজার এবং ম্যাচসেরা হওয়ার জন্য ৫ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। ফাইনালে ম্যাচসেরা ক্রিকেটারকে দেওয়া হবে ৭ হাজার ৫০০ ডলার। সিরিজসেরা ক্রিকেটার পাবেন ১২ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে হবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলা। মিরপুর শেরেবাংলা জতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।