সরকারকে বিপাকে ফেলতে কম দামে চিনি বিক্রি: শিল্পমন্ত্রী

সরকারকে বিপাকে ফেলতে কম দামে চিনি বিক্রি: শিল্পমন্ত্রী

আসন্ন রমজানে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করেছে সরকার। তাই সরকারকে বিপাকে ফেলতেই ইচ্ছাকৃতভাবে খুচরা বাজারে কমদামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

বুধবার শিল্পমন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব এ এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব খোরসেদ আলম, বিসিক চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “যেখানে আমদানিকারকদের চিনি আমদানি করতে ৬১ টাকা খরচ পড়ছে, সেখানে খুচরা বাজারে ৪৮ টাকা থেকে ৫৩ টাকায় চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য একটি চক্র ক্ষতিতে চিনি বিক্রি করছে।”

তিনি আরো বলেন, “যারা কমদামে বাজারে এখন চিনি বিক্রি করছে, তাদের ধারনা এর মাধ্যমে সরকার চিনি আমদানি বন্ধ দেবে। আর পরবর্তীতে তারা পুরো ক্ষতি পুষিয়ে নেবে।”

এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে চিনি ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের একটি মাত্র কারখানা তাতে দরপত্র জমা দেয়। সে প্রতিষ্ঠানটিও পরে সময়মত চিনি সরবরাহ করেনি। যার ফলে সে বছর চিনির বাজার ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। আর এ কারণেই সরকার এ বছর নিজে থেকেই আগেভাবে চিনি আমদানি করে রেখেছে। যা চিনির বাজারকে স্থিতিশীল রাখবে বলে আশাব্যক্ত করেন শিল্পমন্ত্রী।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ১২ জুন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “বিসিক ১৯৫৭ সাল থেকে দেশব্যাপী শিল্পনগরী স্থাপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এর আওতায় দেশের ৫৮টি জেলায় মোট ৭৪টি শিল্পনগরী স্থাপন করেছে। এসব শিল্পনগরীতে মোট ১০ হাজার ৩৫২টি শিল্প প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৬৭টি শিল্প ইউনিটের বিপরীতে ৯ হাজার ৭১৮টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর এতে মোট ৪ হাজার ২৭৭টি শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে।”

গত ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ৬.৩২ শতাংশ হলেও এ খাতের ৭.১৮ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অর্থ বাণিজ্য