স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার শিকার পাঁচ শতাধিক দেহাবশেষের পুনঃদাফন

স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার শিকার পাঁচ শতাধিক দেহাবশেষের পুনঃদাফন

বসনিয়া যুদ্ধের সময় স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার শিকারদের মধ্যে নতুন করে সনাক্ত করা পাঁচ শতাধিক মানুষের দেহাবশেষের পুনঃদাফন করা হল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নৃশংসতম এ গণহত্যার ১৭তম বার্ষিকীতে বুধবার বসনীয়দের চোখের জলে দ্বিতীয় দাফন হল সেই মুসলিমদের।

বুধবার বিষণ্নতায় মোড়ানো অনুষ্ঠানে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পতোকারি মেমোরিয়াল সেন্টারে এ দাফন সম্পন্ন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে স্রেব্রেনিৎসা শহরে জাতিসংঘ বাহিনীর আশ্রয়ে থাকা মুসলিমদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলায় বসনীয় সার্ব বাহিনী। এ সময় আট হাজার মুসলিম পুরুষ ও বালক এ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়।

এ হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে একে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ বলে বিবেচনা করা হয়।

বসনীয় সার্ব সেনারা এ হত্যাকাণ্ড গোপন করার জন্য নিহতদের লাশ গণকবর দেয়। তথাকথিত কয়েকটি সেকেন্ডারি গ্রেভ সাইটেও অনেক দেহ পুঁতে ফেলা হয়।

এ যাবত ৭ হাজার দেহাবশেষ সনাক্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধান কাজ এখনো চলছে। বুধবার ৫২০টি দেহাবশেষ পুনঃদাফন করা হচ্ছে যার মধ্যে ৪৮টি দেহই বালক বয়সীদের বলে জানা গেছে।

স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার দুই প্রধান হোতা তৎকালীন সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিক এবং রাতকো ম্লাদিকের বিরুদ্ধে এখন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে।

আন্তর্জাতিক