বিদ্রোহীদের রুখতে কঙ্গোর গোমায় শান্তিরক্ষী বাহিনী

বিদ্রোহীদের রুখতে কঙ্গোর গোমায় শান্তিরক্ষী বাহিনী

সংঘাত বিক্ষুদ্ধ মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরের অধিবাসীদের বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

কঙ্গোতে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত রজার মিক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অগ্রসরমান এম-২৩ বিদ্রোহীদের থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করতে জাতিসংঘ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এদিকে কঙ্গোর সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের কবল থেকে দু’টি শহর পুনরায় দখল করতে সমর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সম্প্রতি এ শহর দু’টো দখল করে নিয়েছিলো বিদ্রোহী এম-২৩ বাহিনী। তবে এম-২৩ বিদ্রোহীদের নেতা জানিয়েছেন গোমা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছাও এ সময় প্রকাশ করেন তিনি।

গোমা শহরটি কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র রুয়ান্ডার সীমান্তে অবস্থিত। কঙ্গো সরকার ও জাতিসংঘ দাবি করছে বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে রুয়ান্ডা। তবে রুয়ান্ডা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এম-২৩ নামের বিদ্রোহী গ্রুপটি কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহী অংশ। তিন বছর আগে ২৩ মার্চ তারিখে স্বাক্ষরিত একটি ব্যর্থ শান্তিচুক্তি স্মরণে নিজেদের এই নাম দেয় বিদ্রোহীরা।

মঙ্গলবার বিদ্রোহীদের নেতা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমানের পার্বত্য অবস্থানেই বিদ্রোহীরা অবস্থান করতে চায়। সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীরা নতুন শান্তিচুক্তিতেও আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিদ্রোহী সেনারা কঙ্গো সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল বোস্কো নগাঙ্গার সমর্থক। সম্প্রতি হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

জেনারেল নগাঙ্গা জাতিগতভাবে একজন তুতসি। রুয়ান্ডার বর্তমান নেতৃত্বও তুতসি সম্প্রদায়ভুক্ত। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রুয়ান্ডা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে।

এ প্রসঙ্গে কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ দূত রজার মিক বলেন, ‘সম্প্রতি দেখা গেছে বিদ্রোহীরা নতুন ইউনিফরম পরিহিত। এর মানে হচ্ছে তারা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের সহায়তা পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পালিয়ে আসা বেশ কিছু এম-২৩ বিদ্রোহী যোদ্ধা জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের কেউ কেউ ইংরেজীতে কথা বলছে অর্থাৎ তারা কঙ্গোতে বহিরাগত।’

গত এপ্রিলে সংঘাত শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ বসতবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী উগান্ডা এবং রুয়ান্ডায় আশ্রয় নিয়ে

আন্তর্জাতিক