দাতাগোষ্ঠীর কাছে আর ভিক্ষা না চেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর ভিক্ষা চাওয়া নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। আমরা কেবিনেটে নিজেরাই পদ্মাসেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি কোনো দাতাগোষ্ঠী আসে ভালো; কিন্তু আমরা আর কারো কাছে ধর্ণা দেব না। আমরা আর কারো সবক শুনতে চাই না।”
ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের অভিযান অব্যাবহত রেখে তা জোরদার করতে হবে। এছাড়া সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খেলাধূলার পরিসর বাড়াতে হবে।”
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ডিসি সম্মেলন শুরু হয়। এ সম্মেলনে দেশের ৬৪ জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশ দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।
বিকেল থেকে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিবদের সঙ্গে জেলাপ্রশাসকদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করায় সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে টাকার জন্য আমরা কারও কাছে হাত পাততে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। এ জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক বছরের শুরুতেই বাজেট বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “একটি জেলার উন্নয়ন মূলতঃ ডিসিদের আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার ওপর নিভর করে।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “যারা (জনগণ) আমাদের বেতন, ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগের জন্য সম্পদের যোগান দেয়, তাদের সার্বিক কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।”