পদ্মা সেতুর চলমান নির্মাণ কাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর (২০২২ সাল) জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে যা সত্য নয়। চলমান কাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
সেতুমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন- ‘বিআরটিসির’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। মন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন।
২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছে তা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি কোন মেরামতের প্রয়োজনই হয় সেজন্য তাদেরকে ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। সেতুর সকল ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ করার লক্ষ্য আগামী বছরের (২০২২) এর জুন পর্যন্ত। আশা করছি ২০২২ এর আগেই সকল ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে।’
২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিফেক্ট লায়াবিলিটি প্রিয়ড-এর অংশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি মূল সেতুর ফিজিক্যাল ওয়ার্ক সম্পর্কিত নয়, বড় ধরনের কোন প্রকল্পের ঠিকাদারদের দায়বদ্ধ রাখতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সাধারণত ডিফেক্ট লায়াবিলিটি প্রিয়ড ধরা হয় ।
বিআরটিসিকে লাভবান করতে সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিআরটিসির লোকসান কমানোর যে চলমান ধারা তা বজায় রাখতে হবে।
করোনার টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জণগণ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনায় রেজিষ্ট্রেশন করার মাধ্যমে টিকা গ্রহণ করছে। যারা সংশয় সৃষ্টি করার জন্য অপপ্রচার ও গুজব রটনা করছে তাদের সকল অপচেষ্টা আবারো ব্যর্থ হয়েছে।