১৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ১১ ও ১২ জুলাই (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী পণ্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোল বন্দর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘট সফল করার জন্য লিফলেট ও পোস্টার বিতারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আগামী ১১ ও ১২ জুলাই ১৪ দফা দাবিতে দেশব্যাপী পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
১৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক-মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ডাকাতি, ছিনতাই, শ্রমিক হত্যা ও গুম বন্ধ করা, মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি ও অত্যাচার বন্ধ করা, রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে সার্জেন্ট কর্তৃক যত্রতত্র মামলা বন্ধ করা, হাইওয়ে পুলিশ, টহল পুলিশ ও থানা পুলিশ কর্তৃক মোটরযান অধ্যাদেশের অধীনে কোনো প্রকার মামলা করতে না পারা।
এছাড়াও রয়েছে, ঢাকা মহানগরীতে দিনের বেলায় পণ্যবাহী ছোটগাড়ি ও পিকআপভ্যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া, অতিসত্ত্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা, রেকারের নামে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ওভারলোড বন্ধ এবং সারাদেশে এক মাপের ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা, ওয়ে স্কেলের পরিবর্তে ওয়ে ব্রিজ স্থাপন করা, সরকারি ছুটির দিনে দিনের বেলায় ঢাকা মহানগরীতে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া, গাড়ির ট্যাক্স ও ফি’র ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার এবং জরিমানা মওকুফ করে হালনাগাদ কর ফি প্রদান করার সুযোগ দেওয়া, গাড়ির সব কাগজপত্র নবায়নের ক্ষেত্রে কর, ফি প্রদান এবং ট্রাফিক পুলিশের চেকিংয়ের সুবিধার্থে এক ফর্দে অর্থাৎ এক পৃষ্ঠায় করার ব্যবস্থা করা, ফেরি ভাড়া আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং ফেরি ভাড়া ও টোল কমানো, সড়ক, মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, যখন তখন গাড়ি রিকুইজিশন বন্ধ করা এবং জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি রিকুইজিশন করলে আগের নির্ধারিত হারে মালিক-শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা এবং এক জেলায় গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন করা বন্ধ করতে হবে।