বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিটের শুনানি হবে আজ।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন রিটটি দায়ের করেন।
রিটে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনটি ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন ওই আইনজীবী।
আল জাজিরায় সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন” শিরোনামে সম্প্রচারিত হয়, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা নজরদারিতে ব্যবহৃত উপকরণ কিনেছে বাংলাদেশ।
এরপর প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অপপ্রচার আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সরকার। সাধারণত জনগণের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলোর বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকার আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বলেও জানানো হয় মন্ত্রণালয় থেকে।
এছাড়া, প্রতিবেদনটিকে অসত্য দাবি করে এর প্রতিবাদ জানায় সেনা সদর দপ্তর। তাছাড়া, দ্য বাংলাদেশ ডিফেন্স অ্যানালিস্ট জানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যুদ্ধাবস্থায় শুধু সামরিক ব্যবহারের জন্য ফ্রান্স ও জার্মানির কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে যা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ব্যবহার হয় না।
উল্লেখ্য, বার বার বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্প্রচার করে দেশে দেশে নিষিদ্ধের শিকার হয়েছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশন করে নিন্দা কুড়াচ্ছে এই গণমাধ্যমটি। এর আগে, বিতর্কিত সংবাদ প্রচার করায় বাহরাইনে, ইরাকে, মিশরে, ভারতে ও ইসরায়েলে সংবাদ মাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়।