বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারের ৮টি বুথ থেকে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ৫৬০ জন করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ১৯৯ জন টিকা নিয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে এই সেন্টারে ৭৫৯ জন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিলেন।
আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএসএমএমইউ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, বিএসএমএমইউ থেকে এ দিন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ইমরান, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটু, ডা. সুদীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রথম টিকা নিয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন এই সেন্টারের ৪টি বুথে মোট ১৯৯ জন টিকা নিয়েছিলেন। রোববার ৮টি বুথ থেকে টিকাদান কার্যক্রম চলেছে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আবাসিক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ফ্রন্টলাইন যোদ্ধারা টিকা নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কোনো প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে মনের সকল সংশয় কাটিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে দেশবাসীর প্রতি টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপাচার্য জানান, টিকা নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি আগের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক বোধ করছেন। কোনো ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে তথ্যকেন্দ্র, ওয়েটিং রুম, ৮টি বুথ, পোস্ট কোভিড অপেক্ষাগার, ৮টি শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২টি চিকিৎসক টিম, ৪টি এইচডিইউ, কেবিন ব্লকে ৪টি শয্যা ও ২টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।