মুরসির সমালোচনা করেছে মিসরের আদালত

মুরসির সমালোচনা করেছে মিসরের আদালত

আদালতের নির্দেশ বাতিল করে পার্লামেন্ট বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়ায় মিসরের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির তীব্র সমালোচনা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি এক ডিক্রি জারি করে মিসরের নির্বাচিত পার্লামেন্টকে বহাল রাখেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। রোববার এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত জুন মাসে নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের একটি অংশকে অবৈধ ঘোষণা করে মিসরের সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের রায়ের সুযোগ নিয়ে পুরো পার্লামেন্টেরই বিলুপ্তি ঘোষণা করে মিসরের তৎকালীন ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী সমর্থিত সুপ্রিম কাউন্সিল।  তবে পার্লামেন্ট পুনরায় বহাল রাখার মুরসির এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রোববার মুরসির এ সংক্রান্ত ডিক্রি জারির পর সোমবার আদালতের একটি বিশেষ অধিবেশনে বসে। সেখানে বিচাররকরা মুরসির এ ঘোষনার তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন করে এটিকে বহাল রাখার কোনো অধিকার প্রেসিডেন্ট মুরসির নেই।
আদালত কর্তৃক এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রদানের পর সামরিক বাহিনীও পৃথক এক বিবৃতিতে আদালতের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। বিবৃতি বলা হয় আদালতের রায়কে বাস্তবায়ন করার জন্যই সামরিক সুপ্রিম কাউন্সিল পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলো। এ সিদ্ধান্ত অপরিবর্তনীয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর পক্ষে। এদিকে পার্লামেন্ট বহাল রাখার মুরসির ঘোষণার পর মিসরীয় পার্লামেন্টের স্পিকার সাদ আল কাতানি মঙ্গলবার সকাল দশটায় পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন আহবান করেন। অধিবেশন বসার নিয়মিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগেইই বৈঠক আহবান করা হয়। তবে এখনও পরিষ্কার নয় কতজন পার্লামেন্ট সদস্য স্পিকারের আহবানকৃত এ সভায় যোগদান করবেন।
গণআন্দোলনে স্বৈরশাসক মোবারকের পতনের পর মিসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মিসরের সবচেয়ে পুরনো এবং শক্তিশালী বিরোধীদল মুসলিম  ব্রাদারহুড পার্লামেন্টের প্রায় অর্ধেক আসনে জয়লাভ করে।

আন্তর্জাতিক