রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণহারে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করার পর তিনি টিকা গ্রহণ করেন।
এর আগে, আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে একটি মহৎ কাজ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ দেখা দেয় ৮ মার্চ। তখন আমরা রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম হই এবং ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যু হয়। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা সুফল পায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এগোতে থাকি। অনেক সমালোচনা হয়েছে, সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করতে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান অন্যন্য দেশের থেকে তুলণামূলক অনেক ভালো। আমরা জুন মাস থেকে ভ্যাকসিন আনার কাজ শুরু করি। আজকে আমরা সারাদেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্ধোধন করতে যাচ্ছি। দেশের সকল জেলার সাথে আমরা যুক্ত হয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা দেশের সকল সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে একসাথে ভ্যাকসিন গ্রহণ করব। এই ভ্যকসিন নিয়ে যাতে কোন ভুয়া তথ্য না ছড়ায় এই আশা করছি। এই ভ্যাকসিন সব চেয়ে বেশি নিরাপদ। যতগুলো ভ্যাকসিন আছে তারমধ্যে অ্যাষ্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন বেশি নিরাপদ। এর পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। যতগুলো মানুষকে আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে তারা সবাই ভালো আছে সুস্থ আছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভ্যাকসিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হচ্ছে। যদি অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে আমাদের আরো নির্দেশনা আছে তারা ইউনিয়ন বা উপজেলায় গিয়ে তথ্য সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এটাও যদি না পারে তাহলে তারা আসলেই ভ্যাকসিন নিতে পারবে। ফর্ম ফিলাপ করলেই তারা ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিন না নিয়ে কেউই যাবে না। আমাদেরই এটিই লক্ষ্য। আমাদের কাছে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। যেটা ৩৫ লাখ লোককে আমরা দুই ডোজ করে দিতে পারব।
তিনি আরো বলেন, সারা বছরব্যাপী আমাদের এই করোনা ভাইরাসের টিকা কর্মসূচী চলবে। এটা একদিনের বিষয় নয়, এক মাসের বিষয় নয়। সারা বছর ধরে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের ভ্যাকসিন আসতে ছয় মাস লাগবে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন আসবে। তারপর থেকে থেকে আমরা সেই ভ্যাকসিন দিতে থাকব।