ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সাবেক যুদ্ধবাজ নেতা থমাস লুবাঙ্গাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত(আইসিসি)।
মধ্য আফ্রিকান দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলার সময় শিশুদের জোর করে যুদ্ধে ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ সাজা প্রদান করা হয় লুবাঙ্গাকে।
আইসিসির বিচারক আদ্রিয়ান ফুলফোর্ড রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘সব কিছু বিবেচনা করে থমাস লুবাঙ্গাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।’
২০০৬ সালের মার্চ মাসে লুবাঙ্গাকে কঙ্গো থেকে আটক করা হয়। এতদিন আইসিসির হেফাজতে থাকায় তাকে মূলত আর ৮ বছর সাজা কাটাতে হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
উভয়পক্ষে যুক্তি তর্ক এবং শুনানি শেষে গত মার্চে চূড়ান্তভাবে যুদ্ধপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় লুবাঙ্গাকে। ২০০২-০৩ সালে কঙ্গোর গৃহযুদ্ধ চলার সময় নিজের বিদ্রোহী বাহিনীতে শিশুদের যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
যুদ্ধের সময় ১১ বছরেরও কম বয়সী শিশুদের জোর করে যুদ্ধে নিয়োজিত করা এবং গৃহযুদ্ধ কবলিত কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলীয় স্বর্ণসমৃদ্ধ ইতুরি অঞ্চলে অরাজকতা ও নৃশংস নির্যাতন চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। ১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলীয় এ এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
থমাস লুবাঙ্গা ছিলেন ইউনিয়ন অব কঙ্গোলিজ প্যাট্রিটিয়টের( ইউপিসি) প্রতিষ্ঠাতা এবং এর সামরিক শাখা প্যাট্রিটিয়ট ফোর্সেস ফর দি লিবারেশন অব কঙ্গোর (এফপিএলসি) কমান্ডার। আইসিসির এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না তা এখনও জানায়নি লুবাঙ্গার আইনজীবিরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি পৃথিবীর একমাত্র স্বাধীন ও স্থায়ী আদালত যেখানে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করা হয়।
কঙ্গোর গৃহযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে এ আদালত থেকে ২০০৩ সালের পর এখন পর্যন্ত চারটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। থমাস লুবাঙ্গার পাশাপাশি তার দুই সহযোগী জারমেইন কাতাঙ্গা এবং ম্যাথিও গুজোলো চুইয়েরও একই ধরণের অভিযোগে বিচার চলছে আইসিসিতে।