কারাগারে অনশনরত এক ফিলিস্তিনি ফুটবলারকে অবশেষে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বিনা বিচারে ইসরায়েলে কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি ফুটবল দলের এ খেলোয়ার নিজের মুক্তির দাবিতে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন করে আসছিলেন।
সংবাদমাধ্যম জানায় বিগত তিন বছর ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বিনা বিচারে আটক ছিলেন ফিলিস্তিনের জাতীয় দলের ফুটবলার মাহমুদ সারসাক। মঙ্গলবার মুক্তি পেয়ে তিনি গাজায় অবস্থিত তার বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা শুভেচ্ছা জানান তাকে।
ইসরায়েলের দাবি সারসাক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী কট্টরপন্থি সংগঠন ইসলামিক জিহাদের সদস্য। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন সারসাক।
তিন মাসের দীর্ঘ অনশনে ২৫ বছর বয়সী এ ক্রীড়াবিদ প্রায় অর্ধেক ওজন হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতাল সূত্র। গাজায় পৌঁছানোর পরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে আটক আছেন। ‘প্রশাসনিক আটকাদেশ’ নামের একটি বিতর্কিত আইনের অধীনে তাদের আটকে রেখেছে ইসরায়েল। এই আইনের অধীনে যে কোনো সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিকে ছয় মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটকে রাখতে পারবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রত্যেকের আটকাদেশের মেয়াদ প্রতি ছয় মাস অন্তর বৃদ্ধি করারও সুযোগ রয়েছে এ আইনে।
এর আগে সারসাকের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিলো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থা। এছাড়া ইসরায়েলে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউরোপীয় অনূর্ধ-২১ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ স্থগিত করতেও উয়েফার প্রতি আহবান জানিয়েছিলো ফিলিস্তিনি ফুটবল এসোসিয়েশন।
পাশাপাশি ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার এবং ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠনও এর আগে সারসাকের মুক্তির প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করে বিবৃতি দেয়।