চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ১৭১ রানের বড় লিড নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। ৩৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল টাইগাররা। ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই রাকিম কর্নওয়ালের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত একই ওভারের শেষ বলে স্লিপে দাঁড়ানো জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ক্যাচ প্রাক্টিস করিয়েছেন। আর সাদমান ক্যারিবীয় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বাউন্স সামলাতে না পেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। আরও উইকেট যেতে পারতো বাংলাদেশের।
কর্নওয়ালের করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলটি মুশফিকুর রহিমের প্যাড ছুঁয়ে গ্লাভসে লেগে জমা পড়েছিল শর্ট ফিল্ডারের হাতে। তবে আবেদন না করায় সেটা আউট দেননি ফিল্ড আম্পায়ার। এরপর অবশ্য বাকি সময়টা দেখেশুনেই পাড়ি দিয়েছেন মুশফিক এবং মুমিনুল হক।
বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি ৩১ এবং মুশফিক ১০ রান করে অপরাজিত আছেন। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড জমা হয়েছে ২১৮ রান। আগের দুইদিনের তুলনায় তৃতীয় দিন বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন দুই দলের স্পিনাররাই। বিশেষ করে বাংলাদেশের তিন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান এই উইকেটের ফায়দা তুলেছেন।
যদিও এক সময় বাংলাদেশের করা ৪৩০ রান পেরিয়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। তারা মাত্র ৫ উইকেট হারিয়েই আইড়াইশো রান পেরিয়ে গিয়েছিল। ২ উইকেটে ৭৫ রান রান নিয়ে দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও এনক্রুমা বোনারের ৫১ রানের জুটি দিনের শুরুতেই ভেঙে দেন তাইজুল।
তাঁর করা দিনের প্রথম বলেই বোনারকে স্লিপে ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তৃতীয় বলে কাইল মায়ার্সও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন স্লিপে যদিও এই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি শান্ত। এরপর মায়ার্সকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বাড়িয়েছেন অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট।
এরপর দারুণ এক ঘূর্ণিতে ব্র্যাথওয়েটকে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে বোল্ড করে ফেরান নাঈম। এ দিন নিজের প্রথম ওভারেই মায়ার্সকে ৪০ রানে থামান মিরাজ। এরপর দারুণ খেলতে থাকা জার্মেইন ব্ল্যাকউড (৬৮), রাকিম কর্নওয়াল (২), কেমার রোচকেও (০) আউট করেন তিনি।
৬ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয় ২৫৯ রানে। এদিন দুই দলের মিলিয়ে ১১ উইকেটের পতন হয়েছেন। বলাই বাহুল্য সাগরিকার উইকেট শেষ দুইদিন বোলারদের স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ৪৩০/১০ (ওভার ১৫০.২) (সাকিব ৬৮, মিরাজ ১০৩, সাদমান ৫৯, ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস): ২৫৯/১০ (ওভার ৯৬.১) (ব্রাথওয়েট ৭৬, বোনার ১৭, মায়ার্স ৪০, ব্লাকউড ৬৮, সিলভা ৪২; মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/১৪৬, নাইম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস): ৪৭/৩ (ওভার ২০) (মুমিনুল ৩১*, মুশফিক ১০*, কর্নওয়াল ২/২৮)