আসন্ন রমজানে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোজ্যতেল আমদানিকারক, উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা।
আসন্ন রমজান উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পাম অয়েল/অলিন) মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ প্রতিশ্রুতি দেন ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মর্তুজা রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শওকত আলী ওয়ারেছি, এফবিসিসিআই পরিচালক এম হেলাল উদ্দিন এবং সিটি গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, এস আলম, এস এ ও নূরজাহান গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই পরিচালক হেলাল উদ্দিন ‘বাংলানিউজ’-কে বলেন, “আসন্ন রমজানে দেশের সর্বত্র ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।”
তিনি বলেন, “অবশ্য দাম বাড়ানোরও কোনো সুযোগ নেই।”
বর্তমানে ভোজ্যতেলের মজুদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সয়াবিন ও পাম অয়েল মিলিয়ে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টনেরও বেশি তেল মজুদ রয়েছে। সাধারণভাবে যেখানে ১ লাখ ১০ হাজার টন মজুদ থাকলেই চলে, সেখানে দ্বি-গুণেরও বেশি মজুদ রয়েছে।” ভোজ্যতেলের মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে এফবিসিসিআই পরিচালক জানান, “মূল্য নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বর্তমানে বাজারে যে মূল্য আছে তা-ই থাকবে। দাম বাড়ানো হবে না।” প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, বিদ্যমান দর অনুযায়ী মিলগেটে পাম অয়েল ৯০ টাকা ও সয়াবিন ১১১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এলাকাভেদে খুচরা মূল্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবে- এটাই স্বাভাবিক।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজী নন অতিরিক্ত সচিব
এদিকে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের মতো একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করতে ইচ্ছুক নন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মর্তুজা রেজা চৌধুরী।
সভাশেষে এ বিষয়ে জানার জন্যে তার কক্ষে গেলে অতিরিক্ত সচিব মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এম ওবায়েদ উল্লাহ প্রথমে বাংলানিউজ প্রতিনিধির ভিজিটিং কার্ড নিতে গড়িমসি করেন।
প্রথমেই মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ‘তথ্য কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না’ জানালে এম ওবায়েদ উল্লাহ ভিজিটিং কার্ড নিয়ে ভেতর থেকে ঘুরে এসে বলেন, “স্যারকে আমি বলেছি, মিটিং-এ তথ্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। স্যার বলেছেন- যা জানার তা তথ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিতে। তিনি সেটা স্যারকে দেবেন এবং তার কাছেই তথ্য সরবরাহ করা হবে।”