মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশটির একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, আমদানি-রফতানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস ব্যবহার করা। এসব অভিযোগে তার ২ বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সু চির বাসভবন থেকে রেডিও ডিভাইস (ওয়াকিটকি) উদ্ধার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই ডিভাইস তার দেহরক্ষীদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
আটকের পর সু চি এখন কোথায় আছেন, তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি সেনাবাহিনী। তবে তাকে রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে দেশটির সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। তাদের বুঝতে হবে এটা শাসনের কোনো উপায় না।
একদিন আগে চীনের বিরোধিতার মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হওয়া নিরাপত্তা পরিষদ এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, ওই বিবৃতি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। যদিও সেনা অভ্যুর্থানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে চীন।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
এর পর পরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সাং সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
তবে সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু করেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং নাগরিকদের বড় একটা অংশ।