আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে সবধরনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে নিজ নিজ ঘরে ফিরে গেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মোবাইল ফোনে সব ধরনের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা তা মেনে নেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন ‘জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি’র আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল ও দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হামিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভূমি প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী ১২ নেতাসহ সব ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন পুরো ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশ্বাসও পেলেন। এদিকে আবার আন্দোলনও থেমে গেল।
প্রসঙ্গত, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ক্ষতিপূরণের অবশিষ্ট টাকার দাবিতে খনির দক্ষিণ গেটের সামনের রাস্তায় প্যান্ডেল তৈরি করে গত ১৮ জুন অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
প্রথমে ৫ দিনের কর্মসূচি দেওয়া হলেও এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় আরো ৫ দিন বাড়ানো হয়। ধর্মঘটের ১১তম দিনে গত ২৮ জুন জেলা প্রশাসন ও আন্দোলনকারী নেতাদের মধ্যে খনির ট্রেনিং সেন্টারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসন প্রায় ২৪ কোটি টাকার চেক বিতরণের প্রস্তাব দিলে আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘটে যান।
সোমবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা খনির পশ্চিম গেটেও অবস্থান নিয়ে খনি অবরোধ করেন। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে একজন র্যাব সদস্য, ৫ পুলিশ, একজন সাংবাদিকসহ ১৬ জন আহত হন। এর পরেই ভূমি প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা হওয়ার পর পরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
কয়লাখনির দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বাংশে ৩ বর্গকিলোমিটার সেন্ট্রাল পার্টের ৬২৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও স্থায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকার ১৯০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা ১৬৮ কোটি। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় ১২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।