দেরিতে হলেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিভিন্ন দেশে এই টিকা অনুমোদন দিলেও ইইউ দেরি করায় সমালোচনা উঠেছিল।
অবশেষে শুক্রবার ইইউর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয়ান মেডিসিনস অ্যাজেন্সি (ইএমএ) এই টিকার অনুমোদন দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
এখন থেকে ইউনিয়নভুক্ত যে কোনো দেশে ১৮ বছর থেকে ৬৪ বছর বয়সী ব্যক্তিকে এ টিকা দেওয়া যাবে।
এর আগে ইএমএ দুটি টিকার অনুমোদন দেয়। অক্সফোর্ডেরটা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে টিকার সংখ্যা এখন তিনে দাঁড়াল। এর আগে দুই মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার ও মডার্নার দুইটি টিকার অনুমোদন দেয় ইএমএ।
এতদিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন না দেওয়ায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে ইইউ। বিষয়টি নিয়ে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন অনেকে। বাগ্যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ইইউ।
গত বছর ৪০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা কিনতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ইইউ। কিন্তু এতোদিন এই টিকার অনুমোদন না দেওয়ায় সেই চুক্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশেই টিকার স্বল্পতা দেখা গিয়েছিল। ফলে জনগণকে টিকা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল সরকারগুলো। ফলে যে গতিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল সেটা ধীরগতির হয়ে পড়ে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেওয়ায় আবারও সেই গতি ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বয়স্কদের ক্ষেত্রে করোনা টিকার প্রতিক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট তথ্য নেই, তাই অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের না দেওয়ার সুপারিশ করে জার্মানি।
অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা জানায়, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও টিকা সমান কার্যকর। দুটি ডোজ নেওয়ার পর ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে বয়স্কদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
তারপরও জার্মানির ভ্যাকসিন কমিটি বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৬৪ বা তার কম বয়সীদের দেওয়া উচিত। ইএমএ’র অনুমোদনেও বিষয়টি প্রতিফলন ঘটেছে।