মহামারীকালে পরীক্ষা ছাড়াই আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সবাইকে পাস করানো হয়েছে; জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমানে গত বার অর্থাৎ ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করা এবছর এইচএসসির ফলাফলে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন; যা ২০১৯ সালের তুলনায় তিনগুণ বেশি। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার ২৮৬ জন এবং তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-প পেয়েছিলেন। এছাড়া, ২০১৯ সালে মোট পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এর আগে, ১৯৭১ সালে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হয়েছিল। এবার করোনাকালে সেই একই পথে হাঁটল সরকার।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
রেওয়াজ অনু্যায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল হস্তান্তরের পর ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাস করেছেন শতভাগ শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করা হয়েছে।
২০২০ সালে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৭ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। প্রতি বছরের মতো ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।