জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটি জনগণের সম্পদ। জনগণের হাতে তুলে দিতে পেরেছি, এটা আমাদের বড় সার্থকতা। কারণ, বঙ্গবন্ধু আমাদের বাবা হলেও তিনি ছিলেন জনগণের। বঙ্গবন্ধুর এই অসমাপ্ত আত্মজীবনী সবাইকে পাঠ করার আহবান জানাই।’
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘এ বইটি পড়ে মানুষ বাংলাদেশের ইতিহাসের বিরাট অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে। একজন মানুষ কীভাবে জাতির স্বাধীনতার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তা বইটি পড়লে জানা যাবে।’’
এসময় আবেগাপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবার লেখা ৪টি খাতা যখন হাতে পাই, তখন মনে হলো কি অমূল্য সম্পদ হাতে পেলাম। আর এই খাতাগুলো যখন প্রকাশের জন্য ইউপিএলের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দীন আহমদের হাতে তুলে দিই, তথন মনে হয়েছিল কী এক অমূল্য সম্পদ তার হাতে তুলে দিলাম! জনগণের সম্পদ যেন জনগণের হাতে তুলে দিতে পারি তাই যত দ্রুত সম্ভব বই আকারে প্রকাশের কথা তাকে বলেছি। আজ তা তুলে দিতে পারলাম।’’
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তার বাবার নির্মম হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
তিনি বলছিলেন, ‘‘আমরা তথন জানতাম না দেশে ফিরে যেতে পারবো কী না, দেশের অবস্থা কী। টুঙ্গিপাড়া যেতে পারবো কী না। তখন শুধু আপাকে ধরে কাঁদতাম। বয়স এতো কম ছিল যে, কান্না সহ্য করারও ক্ষমতা ছিল না। এসময় পুরো হলরুমে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।’’
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, কবি সৈয়দ শামসুল হক, বেবী মওদুদ এমপি, মহিউদ্দীন আহমদ, বইটির ইংরেজি অনুবাদক অধ্যাপক ফখরুল আলম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবিতা ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয।