সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে ঢাকা-দিল্লি একমত

সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে ঢাকা-দিল্লি একমত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে একমত হয়েছে ঢাকা-দিল্লি।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রস্তুতির দিক নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশ বৈদেশিক অফিস পরামর্শ (এফওসি) বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠানগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং বাংলাদেশ পক্ষের পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি শামস এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও জল সম্পদ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ভারতীয় প্রতিনিধি দলটিতে বিদেশ, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও শিল্প, জল শক্তি ও অর্থ মন্ত্রকের প্রতিনিধি ছিলেন।

উভয় পক্ষই কোভিড -১৯ সহযোগিতা, বাণিজ্য, সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও জল সম্পদ, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা পাশাপাশি সীমান্ত পরিচালনাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অগ্রগতির ব্যাপক পর্যালোচনা করেছে। সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

উভয় পক্ষই কোভিড -১৯ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেছে, এর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি অনুসরণ করে ভারত ২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী প্রসঙ্গে ২০২১ সালের বছরের গুরুত্ব বোঝার সাথে সাথে উভয় পক্ষ চলমান সমন্বয়কে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যৌথভাবে এই বার্ষিকী স্মরণে। এই প্রসঙ্গে, উভয় পক্ষ ২০২১ সালের ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ ট্রাই-সার্ভিস মার্চিং কন্টিজেন্ট অংশ নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। উভয় পক্ষই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনী এবং জনগণের ত্যাগ ও ত্যাগের বিষয়ে উভয় দেশের বর্তমান প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উল্লেখ করেছে।

কোভিড-১৯ সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক অব্যাহত রেখে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। দু’পক্ষের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের পরে, ৫১ তম বিএসএফ – বিজিবি মহাপরিচালক স্তরের ২২-২৬ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে বৈঠক হয়েছে, যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি স্তরের বৈঠক ২০২১ সালের ৬জানুয়ারি,১২ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ প্রধানদের সংলাপ এবং ২৩ শে জানুয়ারি বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতা সম্পর্কিত ১৯ তম সচিব-স্তরের যুগ্ম পরিচালন কমিটির বৈঠক হয়েছে। দ্বিতীয় ভারত-বাংলাদেশ কনস্যুলার সংলাপ গতকাল ২৮ জানুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে এবং উভয় পক্ষই মার্চ ২০২১ শীর্ষ সম্মেলনের আগে পরবর্তী স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা, বাণিজ্যসচিব স্তরের আলোচনা এবং যৌথ নদী কমিশনের সচিব স্তরের বৈঠক করার বিষয়ে একমত হন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর