আগামীকাল শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের কাজ

আগামীকাল শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের কাজ

আগামীকাল শুরু হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের কাজ। এদিন যেসব পৌরসভায় নির্বাচন হবে, সেসব এলাকার যাচাই বাছাই হবে ৬ই ফেব্রুয়ারি।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার অনুমোদন ছাড়া যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তারা এর আওতাভুক্ত। যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দিতে ১ সপ্তাহ সময় পাবে যাচাই বাছাই কমিটি। এরপরই প্রকাশিত হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা।

দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত তালিকা আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। যতবারই সরকার প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করেছে, ততবারই বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং দাবি উঠেছে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করতে।

সম্প্রতি সরকার আবারও উদ্যোগ নিয়েছে, প্রকৃত তালিকা প্রকাশের। জামুকার সুপারিশ ছাড়া বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এমন ৩৮ হাজার ৩শ ৮৬ জনকে যাচাই-বাছাই করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান,’কমিটি যাচাই-বাছাই করবে ৩০ তারিখের মধ্যে এবং দ্রুত রিপোর্ট দেয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে। কারণ ২৬শে মার্চ আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

যাচাই বাছাইয়ের আওতাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, সাক্ষী হিসেবে কমপক্ষে তিনজন ভারতীয় বা লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা বা সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতাকে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে। যাচাই বাছাই চলার সময় ভারতীয় বা লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিত থাকতেই হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন,’আমরা ঢাকাতে বসে না করে স্ব স্ব উপজেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছি, যেন মিথ্যা তথ্য দিতে না পারে।’

কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় বা লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত বা মন্ত্রণালয় স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর