দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার দেশে প্রাণঘাতি করোনা প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এবার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও টিকাদানের সার্বিক অভিজ্ঞতা যাচাই করতে রাজধানীর ৫ হাসপাতালে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ। আজই সেই পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে।
জানা গেছে, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সার্বিক অভিজ্ঞতা যাচাই করতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ আরও চারটি হাসপাতালে চলবে এ কার্যক্রম। এসব হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে এক যোগে দেয়া হবে টিকা। এসব পর্যবেক্ষণ করে এক সপ্তাহ পর আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকা প্রয়োগ শুরু করবে সরকার।
এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল নানা শ্রেণি-পেশার ২৬ জনের দেহে সফলতার সাথে প্রয়োগ করা হয়েছে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি টিকা। এখন পর্যন্ত তাদের শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ।
নতুন করে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে যার তালিকা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ।
এর পরই টিকার নিবন্ধন করতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে অ্যাপ ‘সুরক্ষা’। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও প্রশাসনের লোকজনসহ ১০০ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কাউকে জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। যারা স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চান, কেবল তারাই টিকা পাবেন।
টিকা নিয়ে কোন সংশয় নেই বলে আবারো জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে, পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ৩৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যারা ১৮ বছরের কম বয়সী, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে না।