ফাওয়াদের সেঞ্চুরিতে লিড নিয়েছে পাকিস্তান

ফাওয়াদের সেঞ্চুরিতে লিড নিয়েছে পাকিস্তান

করাচি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুধুই ফাওয়াদ আলমের। ৩৫ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি হাঁকানোর সঙ্গে পাকিস্তানকে লিডও এনে দিয়েছেন। ৪ উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা দিন শেষে লিড পেয়েছে ৮৮ রানের। দ্বিতীয় দিনশেষে বাবর আজমের দলের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়ার দিন পাওয়ার নাম লিখিয়েছেন এলিট ক্লাবেও। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে কোন হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই তিনটি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল শুধু ইংল্যান্ডের রবি বোপারার।

৪ উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করে ১০৪ রান। এরপর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আজহার। তবে মন্থর ব্যাটিং করা এই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশভ মহারাজ। ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফাওয়াদও। ৩৩ রানে রিজওয়ান এনগিডির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন ফাওয়াদ। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ।

ফাওয়াদ ধীরগতিতে আগালেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন ফাহিম। তবে ব্যক্তিগত ৯৪ রানে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৫ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। ফাহিমও পান হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ২৭৮ রানে ১০৯ এনগিডির বলে বাভুমার হাতে ক্যাচ ফাহাদ ফেরার পর ফাহিমও প্যাভিলিয়নে ফিরতে সময় নেননি।

৬৪ রানে অ্যানরিখ নরকিয়ার বলে বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। শেষ বেলায় নউমান আলি এবং হাসান আলির দৃঢ়তায় আর কোন উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, এনগিডি, মহারাজ এবং নরকিয়া।

এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের বোলারদের তোপে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছিল ২২০ রানে। সর্বোচ্চ ৫৮ রানে এসেছিল ডিন এলগারের ব্যাট থেকে। এছাড়া জর্জ লিন্ডে করেন ৩৫ রান। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইয়াসির শাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ৬৯.২ ওভারে ২২০ অল আউট (এলগার ৫৮, লিন্ডে ৩৫) (ইয়াসির ৩/৫৪)

পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১০৭ ওভারে ৮/৩০৮ (আজহার ৫১, ফাওয়াদ ১০৯) (রাবাদা ২/৪৫)

খেলাধূলা শীর্ষ খবর