সোনালী দিনের গল্প বললেন সবাই

সোনালী দিনের গল্প বললেন সবাই

যাদের জন্য অনুষ্ঠান তাদের প্রায় সবাই উপস্থিত হলেন। খেলোয়াড়দের একজন আসনেনি ইংল্যান্ডে থাকায়। তিনি জাকির হোসেন। কোচ গর্ডন গ্রীনিজও ছিলেন না। আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের চিকিৎসক ড. জাওয়াদ তো অনেক আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

১৯ সদস্যের দলের ১৬ জন উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র সম্বর্ধনা নিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন ক্রিকেটার, বাকি জন ম্যানেজার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

আইসিসি জয়ী দলের ম্যানেজার লিপুকে সম্মাননা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আসল অনুষ্ঠানের শুরু। পরিবার নিয়ে স্টেজে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান হাবিবুল বাশারের সহ-উপস্থাপক অভিনেত্রী আফসানা মিনি। লিপুর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ক্রেস্ট, আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের একটি বাঁধানো ছবি আর পাঁচ লাখ টাকার চেক।

লিপুর পরে মঞ্চে গেলেন প্রয়াত ড. জাওয়াদের ছেলে সাকিব আহমেদ খান। বাবার পক্ষ থেকে ছেলে ক্রেস্ট, ছবি এবং চেক গ্রহণ করেন।

এরপর একে একে ১৫ জন ক্রিকেটার আনিসুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, হাসিবুল হাসান শান্ত, এনামুল হক মনি, জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আতহার আলী খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাসুদ পাইলট, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সর্বশেষ সদস্য অধিনায়ক আকরাম খান স্বপরিবারে উপস্থিত হলেন। ওহ সাইফুল এবং রফিক পরিবারের কোন সদস্যকে নিয়ে আসেননি।

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাত থেকে কোন না কোন পুরস্কার নিয়েছেন সাবেকরা। অনুষ্ঠানে ছিলেন তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল।

প্রত্যেকে সম্মাননা অনুষ্ঠানে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। সাইফুল ইসলাম যেমন বললেন, ‘আমরা এত আনন্দ করেছি সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমি হোটেলের লিফটের সামনে।’

দুর্জয়ের মা সে সময়ের অনুভূতি জানালেন, ‘লিপুর কাছ থেকে আমি একটি ফোন পেয়েছিলাম, খালাম্মা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমি রোজা রেখে, নামাজ পড়ে তাদের জন্য দোয়া করেছিলাম। তারা সফল হয়েছে। এখনও দোয়া করি যারা খেলেন তাদের জন্য। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আমার দোয়া থাকবে।’

বাঁহাতি স্পিনার রফিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। আইসিসি ট্রফিতে খেলতে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রফিক। কিন্তু কোচ গর্ডন গ্রীনিজ কি এক মন্ত্র দিয়ে রফিককে নিয়ে গেলেন মালয়েশিয়ায়,‘আমি যেতে চাইনি। গর্ডন আমাকে বললো তুমি গেলে আমরা জিতবো। তোমাকে যেতে হবে এবং টুর্নামেন্ট জিততে হবে। আমি গেলাম এবং জিতলাম।’

অধিনায়ক আকরাম খান অবিভূত বিসিবির এই সম্বর্ধনায়,‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমি ভাবতেও পারিনি দেশে বড় সম্বর্ধনা দেওয়া হবে আমাদেরকে। আজও বুঝতে পারিনি বিসিবি এত আয়োজন করেছে।’ এই বিশেষ আয়োজনের জন্য বিসিবি সভাপতিকে ধন্যবাদ জানালেন আকরামের স্ত্রী।

এভাবে সম্মাননা প্রদান এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রত্যেকে। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মোস্তফা কামালও তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। ওই সময়ের একজনকে উপেক্ষিত হচ্ছিলেন। এসিসির বর্তমান সিইও সৈয়দ আশরাফুল হককেও মঞ্চে ডেকে নেন ওবায়দুল কাদের।

খেলাধূলা