চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ। আমরা আশা করছি চট্টগ্রামে কাল (বুধবার) সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার, তা নেয়া হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কেউ যেন তাদের বাধা না দেয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখা হয়েছে। সেটা তারা দায়িত্ব পালন করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এটাই। সবার জন্য সমান সুযোগ।’
একজন কমিশনার বলেছেন সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ, তার মানে হয়নি– এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘উনি কেন বলেছেন, সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
চসিক নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা তো সবসময়ই থাকে। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আমাদের জানানো হয় কোন কোন কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন তালিকা দেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন তারা সেই অনুযায়ী সেসব কেন্দ্রে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেন। যেগুলো সাধারণ কেন্দ্র সেখানে ১৬ জন করে দায়িত্ব পালন করবে। যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে ১৮ জন করে থাকবেন এবং সেখানে অস্ত্র বেশি থাকবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, যত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তার সবটুকুই সেখানে নেয়া হয়েছে। যারা ওই এলাকার ভোটার না বা ভোটকেন্দ্রে এসে গণ্ডগোল করতে পারে— এ ধরনের কাজ যাতে না করতে পারে এজন্য শহরে প্রবেশের যে পথগুলো আছে সেখানে পুলিশি পাহারা থাকবে। যাতে ভোটার ছাড়া অন্য কোনো লোক ভোটকেন্দ্রে এসে গণ্ডগোল না করতে পারে বা ভোটকেন্দ্রের বাইরেও যাতে কোনোরকম আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে পারে। আমরা মনে করি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য যা যা করা দরকার, সেই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করেছে।’
চট্টগ্রামে ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতি দুই ওয়ার্ডের জন্য একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
ইসি সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদা আমাদের কাছে দেয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে সে পরিমাণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং তাদের বাজেটও দেয়া হয়েছে।