সোমবার (২৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি মডার্না জানিয়েছে সাধারণ ও নতুন করোনার ক্ষেত্রেও তাদের তৈরি টিকা কার্যকর। তবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা নতুন করোনার জন্য একটি বুস্টার ডোজ তৈরি করতে যাচ্ছে, যেটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া নতুন করোনার ওপর।
এ টিকা দেয়ার পর শরীরের ভেতরে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত ও প্রতিরোধে সক্ষম বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে।
তবে টিকা নেয়া মানুষদের ক্ষেত্রে এটি কতটা সত্যি, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি।
ধারণা করা হয়, করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি আগেরটির তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটি আগের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরনটি অন্তত ৭০ শতাংশ বেশি হারে বিস্তার ঘটাতে পারে।
বর্তমানে বিশ্বে যে টিকাগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে, সেগুলো করোনাভাইরাসের প্রথমদিকের ধরন ঠেকানোর চিন্তা করে তৈরি করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি নতুন ধরন ঠেকাতেও কাজ করবে, যদিও তা নিয়ে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নন তারা।
যদিও প্রাথমিক কিছু ফলে দেখা গেছে, ফাইজারের টিকা যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর।
মডার্নার এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন আটজনের রক্তের নমুনা নিয়েছেন যারা মডার্নার টিকার দুটি ডোজই গ্রহণ করেছেন।
তাদের গবেষণার ফলাফলের এখনো বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, টিকাটি করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত করতে পারে।
টিকার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবহার করে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে শরীরের কোষে প্রবেশে বাধা তৈরি করে।
যে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে ভাইরাসের নতুন ধরনটি ঠেকাতে যথেষ্ট অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে সেটি যুক্তরাজ্যে ভাইরাসের নতুন ধরন ঠেকাতে যতটা সক্ষম বলে দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটি ঠেকাতে ততটা সক্ষম নয়।
তাই সংক্রমণ রোধে তৃতীয় ডোজ কার্যকর হয় কিনা এখন সেটাই পরীক্ষা করে দেখছে মডার্না।
পাশাপাশি টিকাটি নতুন করে তৈরি করা হলে সেটি নতুন ধরন মোকাবিলায় আরও কার্যকর হয়ে উঠতে পারে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।