প্রথম দুই ম্যাচে ঢাকায় জিতলেও ব্যাটিংটা সেভাবে মন ভরায়নি। কেউ কেউ উইকেটের দায় দিতে চাইলেও খোদ খেলোয়াড়েরাই বলছিলেন, আরও ভালো করা যেত। চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেই ‘ভালো’ কিছুটা করে দেখালেন সাকিব-তামিমরা।
সোমবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চার সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান করেছে। টাইগার ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজা এই সিরিজে নেই।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর শেষ ওয়ানডেতেও অর্ধশতক হাঁকান তামিম ইকবাল। শুরুতে দুই সতীর্থকে হারালেও তামিম অভিজ্ঞতার প্রমাণ রাখেন। ২৮তম ওভারে ফেরার আগে ৮০ বলে ৮০ স্ট্রাইকরেটে ৬৪ করে যান। এর মধ্যে চারের মার তিনটি, ছয় একটি।
অধিনায়ক হিসেবে ৬ ওয়ানডেতে তার দ্বিতীয় ফিফটি এটি। আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অষ্টম। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিও আছে দুটি।
ওপেনার লিটন দাস এই ম্যাচেও ব্যর্থ। আলজারি জোসেফের প্রথম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন আর তামিম যখন শুরুর ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টায়, ঠিক তখনই কাইল মায়ার্সের বলে সেই এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েই বিদায় নেন নাজমুল। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০।
চার নম্বরে নেমে সাকিব করেন ৫১। ৮১ বলে তিন চারে এই রান করেন সাকিবের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়া এই অলরাউন্ডার। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকও পেয়েছেন অর্ধশতক। ১১৬ স্ট্রাইকরেটে তিনি ৫৫ বলে ৬৪ করে যান।
চার সিনিয়রের তিনটি জুটিতেই ভালো রান উঠেছে। তামিম ফেরার পর মুশফিক-সাকিব করেন ৪৮।
মুশফিকের সঙ্গে আবার ৭২ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। তার স্ট্রাইকরেটও (১৪৮.৮৪) ভালো ছিল। তিনি ৪৩ বলে ৬৪ করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ এদিন দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। হাসান মাহমুদ এবং রুবেল হোসেনকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। তাদের জায়গায় খেলছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ৩ বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন।