কিট দিয়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দিনের দাবি ছিল অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি। আমরা এখন থেকে অ্যান্টিবডি টেস্ট করার অনুমতি দিচ্ছি। এটা অনেকেরই দাবি ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ লাখ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে আশা করছি। এজন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
কবে নাগাদ অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হবে, কত সংখ্যক কিট আছে— এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন আপনাদের সামনে বললাম তখন থেকেই অনুমোদন দেয়া হয়ে গেল। বাজারে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আছে, এই পরিসংখ্যান আমি দিতে পারব না। যার প্রয়োজন হবে কিট নিয়ে আসবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই কিট আমদানি করতে পারবে। পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল এটা নিতে পারবে। এটার মধ্যে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি।’
ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য জাতীয় কমিটির প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘জানতে পেরেছি একটা অ্যাপ তৈরি করার বিষয় ছিল, সেটাও একটা ফাইনাল স্টেজে চলে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন কোন জেলায় কোন উপজেলায় নিয়ে যাব, সেই পরিকল্পনাও করা হয়ে গেছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার (সম্মুখসারির যোদ্ধা), যাদের আমরা প্রথমে ভ্যাকসিন দেব তাদের তালিকাও আমাদের হাতে আছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দিয়েছেন। ভ্যাকসিন দেয়ার যে পরিকল্পনা সেটা উনি উদ্বোধন করবেন। ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু হবে কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে। সেখানে কিছু লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর মধ্যে যারা নার্স, রোগীর একদম পাশে থাকেন, তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তাদেরকেই আমরা প্রথমে ভ্যাকসিন দেব। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সবাই পাবে।’
জেলা-উপজেলা হাসপাতালে যারা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য আসবেন তাদের আলাদা বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন, অবজারবেশনে থাকবেন। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করছি।’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ৫০ লাখ ছাড়া এই মাসে ভ্যাকসিনের আর কোনো লট আসবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হবে চুক্তির প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন।’
সরকারি টিকা দেয়ার একটা পর্যায়ে বেসরকারি টিকা আনার অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শরীরে রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখতে নমুনা হিসেবে রক্ত নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়।